অঙ্কুরোদ্গম মনে করে, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অঞ্চলভিত্তিক দূরত্ব ও বৈষম্য থাকা উচিত নয়। কারণ, মননশীলতার ক্ষেত্রে এটা প্রকৃতি ও আদর্শ বিরোধী। যার ফলে সামগ্রিকভাবে ক্ষতি হয় একটি জাতির ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি এবং সময়ের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা।

     এই সত্যকে মাথায় রেখে- বস্তুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও নগর কলকাতার সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে বাঁধতে চাই এক সূত্রে। এই সমন্বয়ের মঞ্চের পরিচিত নাম- অঙ্কুরোদ্গম। আমরা চাইছি, এমন একটি একত্রিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক শক্তি, যাতে বাংলা সাহিত্যের প্রসার মসৃণ হয়। ভাবনার আদানপ্রদান এবং তার গতিধারা সময়োপযোগী হলে এই দুই ক্ষেত্রে আমরা উন্নততর ভবিষ্যতের দিকে এগোতে পারি।

      এই ভাবে ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি আমাদের জাতিসত্ত্বার গর্বকে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে। কারণ, বাংলাভাষা ও তার সংস্কৃতি আটকে পড়েছে এক সংকটকালে। অথচ অস্বীকার করা যায় না যে সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নতি  ছাড়া ভাষার যেমন উৎকর্ষতা বাড়ে না বা অবনমন রোধ করা যায় না তেমনি একটি জাতির সামাজিক আচরণও বিপথগামী হয়।

বাংলার উন্নত সাহিত্য ও সংস্কৃতি এই দুই ক্ষেত্রে যে কোনো বিরুদ্ধ অনুপ্রবেশকে রুখতে পারে। বিশ্বায়নের হাত ধরে যে বহিরাগত রুচি ও আর্থ-সামাজিক জীবনধারা বাঙালির ঐতিহ্যকে টলিয়ে দিতে চাইছে তাতে বাংলার সুশীল সমাজকে অনেক বেশী সচেতন হতে হবে। কারণ, তাদের হাতেই সমগ্র বাঙালী জাতির রক্ষাকবচ। বিশ্বায়নের হাত ধরে যে পণ্যসংস্কৃতি আমাদের ধ্রুপদী সত্ত্বাকে বিবশ করতে চাইছে, তা আধুনিকতার নামে লোভনীয়। কিন্তু বাজার দখলের নামে বাঙালীর জাতির সত্ত্বাকে বিপন্ন করার যে কৌশল চলছে তাকে রোখা দরকার। আধুনিকতা মানে নিজেদের অস্তিত্ত্ব বদলে দেওয়া নয়। যা নিজেদের উপযোগী তা অটুট রাখা, যা পরিমার্জনীয় তাকে অন্যের ভালোর সঙ্গে যোগ্যভাবে মিলিয়ে এক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই প্রকৃত আধুনিকতা। তা না হলে সাংস্কৃতিক পরাধীনতার মধ্য দিয়ে একটি জাতিসত্ত্বা তার স্বাধীন আদর্শ হারায়। একসময় বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরিসংখ্যান বলে বিশ্বে বছরে অন্তত ১২০০ জাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। হচ্ছে, কারণ সময়ের সঙ্গে তারা তাল মেলাতে পারছে না। এই লড়াইয়ে একটি জাতির কাছে প্রধান অস্ত্র হল তার সাহিত্য ও সংস্কৃতি। আমাদের জাত্যভিমান টিকিয়ে রাখতে গেলে এই দুই অস্ত্রে ধার দিতে হবে। তা না হলে গতির মুখোমুখি হওয়া যায় না।

     তাই অঙ্কুরোদ্গম চায়, বাংলাভাষীদের মধ্য থেকে যোগ্য লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তুলে আনতে, কারণ তাঁদের হাতেই বাংলার ভবিষ্যৎ। তিনি যেখানেই সাহিত্য কিংবা সাংস্কৃতিক চর্চা করুন না কেন তাঁদের কীর্তি সকলের সামনে তুলে ধরা এবং যোগ্য মর্যাদা দেওয়া দরকার। অঙ্কুরোদ্গম-এর লক্ষ্য- উন্নত সাহিত্য এবং সংস্কৃতি ও তার প্রসার।

ইদানিং সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে একটা হাস্যকর প্রবণতা খুব চোখে পড়ে। দেখা যাচ্ছে, যে কোনো ভাবেই হোক সাহিত্য রচনায় নিজেদের শিক্ষিত ও আধুনিক প্রমাণের জন্য কিছু বিদেশি শব্দ ব্যবহার করছেন অনেকেই। তাঁরা বোঝেন না, এটা কতটা তাঁদের ভাষাগত দৈন্যতার প্রকাশ। 

বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র এবং পরবর্তীকালে- বিভূতিভূষণ, মানিক, তারাশঙ্কর, জীবনানন্দ দাশ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষ, সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ সাহিত্য-মনীষীদের মধ্যে কি আমরা কখনো এই  প্রবণতা দেখেছি ? নাকি বাংলা ছাড়া তাঁদের আর কোনো ভাষায় দখল ছিল না ?  বাংলা সাহিত্যের প্রাণ ও ঐতিহ্য তার ভাষার ভান্ডারে যথেষ্টই। যার জন্য পৃথিবীর ভাষা মানচিত্রে বাংলার স্থান মর্যাদার নিরিখে অন্য যে কোনো জাতির কাছে একটি দৃষ্টান্ত। পৃথিবীতে অন্তত ৩০ কোটি বাংলাভাষী রয়েছেন। যা সমগ্র আমেরিকার জনসংখ্যার প্রায় সমান। অথচ বাংলা ভাষায় সাহিত্য করতে এসে বাংলা ভাষাকেই যাঁরা যথেষ্ট মনে করছেন না তাঁদের কাছে বাঙালীর জাত্যভিমান আশা করা ঠিক নয়।

অঙ্কুরোদ্গম মনে করে, প্রচলিত আঞ্চলিক বাংলা ভাষার মধ্যে আছে বাংলার প্রকৃত প্রাণ। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার অকৃত্রিম সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক চিত্র। এই সব শব্দকে আঞ্চলিক গন্ডিতে বেঁধে না রেখে মান্য বাংলার মূল স্রোতে আনলে বাংলার সাহিত্য ও তার শব্দ ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলা জাতির প্রকৃত মূল্যায়ন হবে। বিভূতি-মানিক-তারাশংকর- এই তিন বন্দ্যোপাধায়ের সাহিত্য কর্মে যে ধ্রুপদী বাংলা আমরা দেখেছি এবং সাম্প্রতিক কালে যা দেখছি নলিনী বেরার কলমে তা সমগ্র বাংলা জাতির কাছে গৌরবময়। তাই মান্য বাংলার নামে যে পন্য বাংলাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার থেকে বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতিকে রক্ষা করার বেশী সময় আর নেই। এই সচেতনতা তুলে ধরার জন্য সারা বাংলা জুড়ে কাজ করে চলেছে অঙ্কুরোদ্গম।

এ জন্যই প্রতিটি আঞ্চলিক বাংলা ভাষাকে মর্যাদা দেবে অঙ্কুরোদ্গম। এবং বাংলা ভাষার ভিন্নতার মধ্যে সামঞ্জস্য তুলে এনে একটি সর্বজনীন বাংলা ভাষা নিয়ে চর্চা করা হবে। যাতে এই নতুন ঘরানায় লিখিত বাংলা সাহিত্য ভবিষ্যতে ঔপনিবেশিক দাসত্বমুক্ত হতে পারে। এই জন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অঞ্চলভিত্তিক দূরত্ব ও বৈষম্য দূর করা উচিত। কারণ, মননশীলতার ক্ষেত্রে এটা প্রকৃতি ও আদর্শ বিরোধী। যার ফলে সামগ্রিক ভাবে ক্ষতি হয় একটি জাতির ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি এবং সময়ের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা। 

এই লক্ষ্যে অঙ্কুরোদ্গম সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত সকলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি এবং একটি সম্মিলিত মঞ্চ গড়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছে অঙ্কুরোদ্গম। যার নাম ‘বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সমন্বয় মঞ্চ’। আমাদের আশা,  অঙ্কুরোদ্গমে, প্রচলিত বাংলা ভাষার মাধ্যমে একদিন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সামগ্রিক বাংলার স্পন্দন উঠে আসবে। 

অঙ্কুরোদ্গম মনে করে, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অঞ্চল ভিত্তিক দূরত্ব ও বৈষম্য থাকা উচিত নয়। কারণ, মননশীলতার ক্ষেত্রে এটা প্রকৃতি ও আদর্শ বিরোধী। যার ফলে সামগ্রিকভাবে ক্ষতি হয় একটি জাতির ঐতিহ্য, সমৃদ্ধি এবং সময়ের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা।

দায়মুক্ত বা ফরমায়েসি বাংলা সাহিত্য চর্চা থেকে প্রকৃত বাংলা সাহিত্যকে বাঁচাতে লিটল ম্যাগাজিনগুলিকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আবেদন জানাচ্ছে অঙ্কুরোদ্গম। কোনো প্রতিষ্ঠানিক বাংলা পত্রপত্রিকার পক্ষে মুনাফার কারণে এই দায়িত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়। লিটল ম্যাগাজিনের অন্যান্য আদর্শের মধ্যে বানিজ্যধর্মী না হওয়াটা একটা বড়ো কারণ। তাই লেখা ছেপে পত্রিকা বিক্রির চেষ্টা থেকে বেরিয়ে এসে ছাপার যোগ্য লেখা মনোনয়নের দিকে নজর দেওয়া উচিত। যে কোনো ভাবে একটি পত্রিকা বের করে সম্পাদক হওয়ার বাসনা পূরণ করতে চাইলে লিটল ম্যাগাজিনের চরিত্র হারায়।

লেখা সম্পাদনা করার দক্ষতা যেমন সম্পাদকের থাকা চাই, তেমনি বর্তমান সময়ের প্রযুক্তিগত ধারণাও। বাংলা ভাষায় লিটিল ম্যাগাজিনের অভাব নেই। এই সব পত্রিকার সম্পাদক যদি তাঁর পত্রিকায় অন্তত একজন উপযুক্ত সাহিত্যিক তৈরি করার দায়িত্ব নেন তাহলে বাংলা সাহিত্যের গৌরব কখনোই ম্লান হয় না। কিন্তু এত পত্রিকা থাকা সত্ত্বেও আমরা হাতে গোনা কয়েকজন দক্ষ সাহিত্যিক খুঁজে পাই। আমরা মনে করি, যে কয়েকজন সাহিত্যিককের পরিচয় আমরা পাই সেটাই প্রকৃত নয়। এর বাইরে অনেক শক্তিশালী লেখক আছেন যাঁরা প্রচারের আলোয় আসতে পারছেন না। অনেকক্ষেত্রে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই যাঁরা সত্যিকারের ভালো লিখছেন তাঁদের যেমন তুলে আনা দরকার তেমনি আগামী প্রজন্মের কাজটিও চালিয়ে যেতে হবে। আগ্রহী লেখকদের উৎসাহ ও পরিণত হওয়ার সঠিক পথ দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে লিটল ম্যাগাজিনগুলিরই সবচেয়ে বড়ো দায়িত্ব।

প্রতিটি জেলাকেন্দ্রে বাংলা সাহিত্যের সব ধরণের লিটল ম্যাগাজিন রাখার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যাতে দূর দূরান্তের পত্রিকাগুলি সহজলভ্য হয়। লেখকরা যেমন সংগ্রহ করতে পারবেন, তেমনি উৎসাহীরা হাতের কাছে পাবেন তাঁর প্রয়োজনীয় পত্রিকাটি। এর ফলে পত্রিকাগুলি যেমন প্রচার পাবে, সেই সঙ্গে লেখকরাও পত্রিকার খোঁজ পাবেন। সে জন্য অঙ্কুরোদ্গম লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রহশালায় নিয়মিত পত্রিকা পাঠানোর আবেদন জানানো হচ্ছে লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদের।

যাঁরা অন্তর থেকে সাহিত্য কিংবা সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় চর্চা করতে চান, যাঁদের ভাবনা আছে, লক্ষ্য আছে, দার্শনিক অনুসন্ধান আছে, অথচ ধরণধারণের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ হওয়ায় প্রকাশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তাঁদের উপযুক্ত তালিম দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় অঙ্কুরোদ্গম। আমাদের যাঁরা সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ আছেন তাঁরা নিয়মিত কর্মশালা করবেন জেলায় জেলায়। এতে উপকৃত হবেন আগ্রহী সাহিত্যানুরাগীরা।

সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক ধারাগুলি কেউ কারুর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এগুলি সামগ্রিক মননশীলতার এক একটি অংশ। একে অপরের সঙ্গে জড়িত। তাই এগুলির মধ্যে সামন্বয় থাকলে উপকৃত হবেন প্রত্যেকে। অঙ্কুরোদ্গম চায়, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতে যে পক্ষপাত এবং পৃথক পৃথক অস্তিত্বের যে রক্ষণশীল মনোভাব দেখা দিচ্ছে তার থকে বেরিয়ে এসে একটি যৌথ সুশীল সমাজ গড়তে।

অঙ্কুরোদ্গম চায় সুসম্পর্ক, যাতে গড়ে উঠতে পারে একটি দৃষ্টান্তমূলক বাংলাভাষী সুশীল সমাজ। সেখানে বিভেদ নয়, স্বার্থপরতা নয়, তোষামোদ নয়। মুক্ত মন আর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চেতনাই হবে এই সম্পর্কের সেতু। আগেই আমরা জানিয়েছি, সাহিত্য ও সংস্কৃতির আদর্শই হল সম্পর্ক। আমরা বাংলা ও বাংলার বাইরে সমস্ত বিচ্ছিন্ন লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, যাতে আগামী দিনে একটি সুস্থ সৃষ্টিশীল আবহ গড়ে ওঠে। এজন্যই অঙ্কুরোদ্গম-এর এই মিলন সভার নাম- বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সমন্বয় মঞ্চ।

বাংলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতে সমস্ত গোষ্ঠী এবং সংগঠকদের নিয়ে একটি চিন্তন-টেবিল গঠনের চেষ্টা করবে ‘অঙ্কুরোদ্গম’

অঙ্কুরোদ্গম-এর সদস্যদের মধ্যে লেখক সংযোগ উন্নত করতে সংগঠনের সাময়িক মুখপত্র হবে। এ ক্ষেত্রে পত্রিকাটি হবে পেশাদারী, কিন্তু বাণিজ্যিক নয়। যদি পত্রিকা থেকে আয় হয় তাহলে তা খরচ করা হবে দুঃস্থ এবং সম্ভাবনাময় লেখকের জন্য।

নবীন লেখক এবং শিল্পীদের আবেগকে প্ররোচিত হতে দেবে না। বরং তাঁদের আগ্রহকে পরিণত করতে চায় অঙ্কুরোদ্গম।

ছোটোবেলা থেকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে চায় অঙ্কুরোদ্গম। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক ভাবে দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের মধ্যে সাহিত্য ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক বই বিনামূল্যে বিতরণ করবে। এর জন্য প্রতিটি জেলায়, যেখানে অঙ্কুরোদ্গম সাংগঠনিক ভাবে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করবে সেখানে নির্দিষ্ট ‘বই ব্যাঙ্ক’ গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগে প্রকাশক ও লেখকদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। যাতে তাঁদের প্রকাশিত একটি করে বই দিয়ে এই ‘বই ব্যাঙ্ক’ তৈরিতে সহযোগিতা করেন।

অঙ্কুরোদ্গম-এর সাহিত্য ও সংস্কৃতির সদস্যরা তাঁদের লেখা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে পরিবেশ ও সমাজ সচেতনতার বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেবেন।

ভবিষ্যতে ‘অঙ্কুরোদ্গম সাহিত্য পুরষ্কার’ ও ‘অঙ্কুরোদ্গম সংস্কৃতি পুরষ্কার’ ঘোষণার পরিকল্পনা থাকছে।